রামপ্রসাদ স্নানের ঘাট,গঙ্গা নদী, হালিশহর, এইখানেই রামপ্রসাদ মা কালীসহ জলে মিশে যান
keywords....Ramprasadder vita Halisar..Makalir mandir ,Ramprosader Ghar,Halisahar
#Ramprosaderghat #Ramprosadermakalirmandir
#halisaharervita
#ramprosaderpaitrikvita
স্নানের ঘাট,গঙ্গা নদী, হালিশহর, এইখানেই রামপ্রসাদ মা কালীসহ জলে মিশে যান।
দীনেশ ভট্টাচার্য ও ঈশ্বর গুপ্তের মতে ,সন 1127 ,ইং 1720 খ্রীঃ সাধক রামপ্রসাদের জন্ম। নিবাস কুমারহট্ট গ্রাম,হালিশহর। পিতা রামরাম সেন...মাতা সিদ্ধেশ্বরী দেবী,পিতার দ্বিতীয়া স্ত্রী। বৈমাত্রেয় দাদা ও দুই বোন এবং সর্বকনিষ্ঠ বিশ্বনাথ। রামপ্রসাদ পারসী,হিন্দি বাংলা ও সংস্কৃত ভাষা শেখেন ।এরপর রামপ্রসাদ কুলগুরুর কাছে দীক্ষা নেন। বিবাহ হয়, সহধর্মিণীর নাম সর্বাণী। কিন্তু সন্তানাদি হলেও সংসার সামলান স্ত্রী।
হঠাৎই পিতা চলে গেলে,দায়িত্ব পড়ল সংসারের। বড় ভগ্নীপতি কলকাতায় মুহুরির কাজ ,ত্রিশ টাকা মাহিনা, যোগাড় করলেন। অত খাতাপত্র পেয়ে,গান রচনা শুরু করলেন ঐ খাতাতে। অন্যান্যরা বললেও তেমন গুরুত্ব দেননা বাবু। একদিন হিসেবের খাতা দেখতে চাইলেন,সত্যিই তো শুধু গান। তন্ময় হয়ে গেলেন,ভাবলেন,এতো সাধারণ মানুষ নন। ছুটি দিলেন,আর ত্রিশ টাকা বাড়িতেই পাঠাতেন। ছেলে ফিরল গ্রামে..মা ছেলের কি আনন্দ। সাধনা চলল। নদীর ধারে গান করেন,নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র,বাংলার নবাব সিরাজদ্দৌল্লা,বজরা থামিয়ে গান শোনেন,সিরাজ বজরায় তুলে নেন। ওনাকে হিন্দি গান শোনালে বলেন,না বাংলা,যে গান করছিলেন, সেই শুনব। রাজা কৃষ্ণ চন্দ্রের কাজ নিতে অস্বীকার করলেও, তিনি রাগ না করে নিষ্কর জমি দেন। ওনার জন্য কবি 'বিদ্যাসুন্দর ' কাব্য রচনা করেন,ও কৃষ্ণচন্দ্র, কবিরঞ্জন উপাধি দেন। সাধকের দুই পুত্র রামদুলাল,রামমোহন। কন্যা পরমেশ্বরী ও জগদিশ্বরী। পিতামহ রামেশ্বর সেন,প্রপিতামহ কৃত্তিবাস সেন। ধ্বন্বন্তরি গোত্র..বাইশ বছরে বিবাহ হয়েছিল। একদিন এক কন্যা গান শুনতে চান,ওনাকে বসিয়ে গঙ্গাস্নানে যান,এসে দেখেন,লেখা..আমি কাশীর অন্নপূর্ণা..গান শুনতে চেয়েছিলাম। উনি কাশীর উদ্দেশ্যে রওনা হন,পথে ত্রিবেণীতে বিশ্রাম নিতে ঘুম এসে যায়। স্বপ্ন পান,যেতে হবেনা,সর্বত্রই আমি আছি।তখনই লিখলেন..কাজ কি আমার গিয়ে কাশী ,মায়েরপদতলে পড়ে আছে,গয়া,গঙ্গা,বারাণসী।
একবার বেড়া বাঁধছেন, মেয়ে জগদিশ্বরী,দড়ি অপরদিক থেকে ঘুরিয়ে দিতে দিতে,খেলতে চলে গেছে। রামপ্রসাদ জানেন না। একটি মেয়ে কিন্তু সাহায্য ওনাকে করেই চলেছে। মেয়ে এসেছে দেখে কাজ শেষ। বাবা,মেয়ে দুজনেই অবাক। কে করল? এমন অলৌকিক কাহিনী শোনা যায়, ওনার সম্বন্ধে। উনি কবিতা লিখলেন ...
নয়ন থাকতে দেখলে না,মন
কেমন তোমার কপাল পোড়া,মা
ভক্তে ছলিতে,তনয়ারূপে বেঁধে
গেলেন ঘরের বেড়া।
। রামপ্রসাদ সাধক,গায়ক,কবি।উনি কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের কাছে দীক্ষা নিয়ে,পঞ্চমুণ্ডির আসনে তপস্যা করে সিদ্ধিলাভ করেন।তিনি প্রথম বাংলা ভাষায় গীতিকাব্য রচয়িতা,স্হায়ী সঙ্গীতরীতি ও সুরের প্রবর্তক। একলক্ষাধিক গান রচনা করেন। কৃষ্ণ কীর্তন, কালী কীর্তন, শক্তিগীতি, তাঁর সৃষ্টি।
তান্ত্রিকগণ, কুলকুণ্ডলিনী জাগ্রত করেন,ও শক্তিকে চৈতন্য সম্পাদন করেন।মূলাধারে,কুলকুণ্ডলিনী সুপ্ত অবস্হায় থাকে। সাধনায় স্বাধিষ্ঠান, মণিপুর,অনাহত,বিশুদ্ধ আজ্ঞাচক্র ও পরে মাথার উপর, সহস্রারে যায়।শোনাযায়,কালীপুজোর ভাসানে গান শেষ করে গঙ্গায় প্রাণত্যাগ করেন। 1775সন..
ঘুরে আসি,কাছে,দূরে,বানী সেন আমার চ্যানেল,দয়া করে সাবস্ক্রাইব করবেন।
ভিডিও টি সম্পূর্ণ দেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
Видео রামপ্রসাদ স্নানের ঘাট,গঙ্গা নদী, হালিশহর, এইখানেই রামপ্রসাদ মা কালীসহ জলে মিশে যান канала ঘুরে আসি,কাছে,দূরে,বানী সেন
#Ramprosaderghat #Ramprosadermakalirmandir
#halisaharervita
#ramprosaderpaitrikvita
স্নানের ঘাট,গঙ্গা নদী, হালিশহর, এইখানেই রামপ্রসাদ মা কালীসহ জলে মিশে যান।
দীনেশ ভট্টাচার্য ও ঈশ্বর গুপ্তের মতে ,সন 1127 ,ইং 1720 খ্রীঃ সাধক রামপ্রসাদের জন্ম। নিবাস কুমারহট্ট গ্রাম,হালিশহর। পিতা রামরাম সেন...মাতা সিদ্ধেশ্বরী দেবী,পিতার দ্বিতীয়া স্ত্রী। বৈমাত্রেয় দাদা ও দুই বোন এবং সর্বকনিষ্ঠ বিশ্বনাথ। রামপ্রসাদ পারসী,হিন্দি বাংলা ও সংস্কৃত ভাষা শেখেন ।এরপর রামপ্রসাদ কুলগুরুর কাছে দীক্ষা নেন। বিবাহ হয়, সহধর্মিণীর নাম সর্বাণী। কিন্তু সন্তানাদি হলেও সংসার সামলান স্ত্রী।
হঠাৎই পিতা চলে গেলে,দায়িত্ব পড়ল সংসারের। বড় ভগ্নীপতি কলকাতায় মুহুরির কাজ ,ত্রিশ টাকা মাহিনা, যোগাড় করলেন। অত খাতাপত্র পেয়ে,গান রচনা শুরু করলেন ঐ খাতাতে। অন্যান্যরা বললেও তেমন গুরুত্ব দেননা বাবু। একদিন হিসেবের খাতা দেখতে চাইলেন,সত্যিই তো শুধু গান। তন্ময় হয়ে গেলেন,ভাবলেন,এতো সাধারণ মানুষ নন। ছুটি দিলেন,আর ত্রিশ টাকা বাড়িতেই পাঠাতেন। ছেলে ফিরল গ্রামে..মা ছেলের কি আনন্দ। সাধনা চলল। নদীর ধারে গান করেন,নদীয়ার রাজা কৃষ্ণচন্দ্র,বাংলার নবাব সিরাজদ্দৌল্লা,বজরা থামিয়ে গান শোনেন,সিরাজ বজরায় তুলে নেন। ওনাকে হিন্দি গান শোনালে বলেন,না বাংলা,যে গান করছিলেন, সেই শুনব। রাজা কৃষ্ণ চন্দ্রের কাজ নিতে অস্বীকার করলেও, তিনি রাগ না করে নিষ্কর জমি দেন। ওনার জন্য কবি 'বিদ্যাসুন্দর ' কাব্য রচনা করেন,ও কৃষ্ণচন্দ্র, কবিরঞ্জন উপাধি দেন। সাধকের দুই পুত্র রামদুলাল,রামমোহন। কন্যা পরমেশ্বরী ও জগদিশ্বরী। পিতামহ রামেশ্বর সেন,প্রপিতামহ কৃত্তিবাস সেন। ধ্বন্বন্তরি গোত্র..বাইশ বছরে বিবাহ হয়েছিল। একদিন এক কন্যা গান শুনতে চান,ওনাকে বসিয়ে গঙ্গাস্নানে যান,এসে দেখেন,লেখা..আমি কাশীর অন্নপূর্ণা..গান শুনতে চেয়েছিলাম। উনি কাশীর উদ্দেশ্যে রওনা হন,পথে ত্রিবেণীতে বিশ্রাম নিতে ঘুম এসে যায়। স্বপ্ন পান,যেতে হবেনা,সর্বত্রই আমি আছি।তখনই লিখলেন..কাজ কি আমার গিয়ে কাশী ,মায়েরপদতলে পড়ে আছে,গয়া,গঙ্গা,বারাণসী।
একবার বেড়া বাঁধছেন, মেয়ে জগদিশ্বরী,দড়ি অপরদিক থেকে ঘুরিয়ে দিতে দিতে,খেলতে চলে গেছে। রামপ্রসাদ জানেন না। একটি মেয়ে কিন্তু সাহায্য ওনাকে করেই চলেছে। মেয়ে এসেছে দেখে কাজ শেষ। বাবা,মেয়ে দুজনেই অবাক। কে করল? এমন অলৌকিক কাহিনী শোনা যায়, ওনার সম্বন্ধে। উনি কবিতা লিখলেন ...
নয়ন থাকতে দেখলে না,মন
কেমন তোমার কপাল পোড়া,মা
ভক্তে ছলিতে,তনয়ারূপে বেঁধে
গেলেন ঘরের বেড়া।
। রামপ্রসাদ সাধক,গায়ক,কবি।উনি কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের কাছে দীক্ষা নিয়ে,পঞ্চমুণ্ডির আসনে তপস্যা করে সিদ্ধিলাভ করেন।তিনি প্রথম বাংলা ভাষায় গীতিকাব্য রচয়িতা,স্হায়ী সঙ্গীতরীতি ও সুরের প্রবর্তক। একলক্ষাধিক গান রচনা করেন। কৃষ্ণ কীর্তন, কালী কীর্তন, শক্তিগীতি, তাঁর সৃষ্টি।
তান্ত্রিকগণ, কুলকুণ্ডলিনী জাগ্রত করেন,ও শক্তিকে চৈতন্য সম্পাদন করেন।মূলাধারে,কুলকুণ্ডলিনী সুপ্ত অবস্হায় থাকে। সাধনায় স্বাধিষ্ঠান, মণিপুর,অনাহত,বিশুদ্ধ আজ্ঞাচক্র ও পরে মাথার উপর, সহস্রারে যায়।শোনাযায়,কালীপুজোর ভাসানে গান শেষ করে গঙ্গায় প্রাণত্যাগ করেন। 1775সন..
ঘুরে আসি,কাছে,দূরে,বানী সেন আমার চ্যানেল,দয়া করে সাবস্ক্রাইব করবেন।
ভিডিও টি সম্পূর্ণ দেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
Видео রামপ্রসাদ স্নানের ঘাট,গঙ্গা নদী, হালিশহর, এইখানেই রামপ্রসাদ মা কালীসহ জলে মিশে যান канала ঘুরে আসি,কাছে,দূরে,বানী সেন
Комментарии отсутствуют
Информация о видео
29 апреля 2025 г. 17:02:38
00:12:45
Другие видео канала




















