উপেন্দ্র সরোবর | নাগরপুর জমিদার ও চৌধুরী বাড়ির হারানো ইতিহাস!
📣 আগে কেউ দেখায়নি… এমন এক ইতিহাস যা হারিয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে।
🎥 পুরোটা দেখুন, প্রতিটি দেয়াল কিছু বলছে…
Welcome to a journey into the untold history of Nagarpur Zamindar House, but this time, not the main palace — this episode uncovers the forgotten surroundings that once breathed under the shadow of power. এই ভিডিওতে আমরা নিয়ে এসেছি নাগরপুর জমিদার প্রাসাদের আশেপাশের সেই স্থানগুলো, যেগুলো আজ অনেকেই চেনে না, জানে না… অথচ প্রতিটি ইট, প্রতিটি পথ নিজেই ইতিহাস!
টাঙ্গাইল জেলার ইতিহাসে সমৃদ্ধ একটি নাম—নাগরপুর। ১৯০৬ সালে নাগরপুরকে থানা এবং ১৯৮৩ সালে উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পূর্ব দিকে ধলেশ্বরী নদী এবং পশ্চিমে যমুনার প্রবাহ বয়ে চলেছে এই জনপদের পাশ ঘেঁষে, যা একসময় নদীপথে নাগরপুরকে কলকাতার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করেছিল। এই নদীবিধৌত অঞ্চল ঊনবিংশ শতাব্দীতে রূপ নেয় এক বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে, আর কলকাতার সঙ্গে নাগরপুরের গড়ে ওঠে এক শক্তিশালী বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক।
ঠিক এই সময়ে সুবিদ্ধা খাঁ’র হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় নাগরপুরের প্রভাবশালী ‘চৌধুরী’ বংশ। যদুনাথ চৌধুরী ছিলেন এই বংশের প্রথম পুরুষ, যিনি প্রায় ৫৪ একর জমির উপর তার জমিদারির সূচনা করেন। তার তিন পুত্র—উপেন্দ্র মোহন, জগদীন্দ্র মোহন এবং শশাঙ্ক মোহন চৌধুরী এই জমিদারির উত্তরাধিকারী হন।
ব্রিটিশ আমলে উপেন্দ্র মোহন চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র সতীশ চন্দ্র রায় চৌধুরী সাধারণ মানুষের কল্যাণে নানা সেবামূলক কাজের মাধ্যমে ‘রায় বাহাদুর’ উপাধিতে ভূষিত হন। অন্যদিকে, কনিষ্ঠ পুত্র সুরেশ চন্দ্র রায় চৌধুরী ছিলেন এক আধুনিকমনস্ক, সৌখিন এবং ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ, যিনি ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারী হিসেবেও স্মরণীয়। তারই তত্ত্বাবধানে নাগরপুর জমিদার বাড়ি নির্মিত হয় এক অপূর্ব নান্দনিকতায়, যেখানে মিশে যায় পাশ্চাত্য ও মোঘল স্থাপত্যরীতির ছোঁয়া।
সুরেশ চৌধুরী ছিলেন একজন স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনি নাগরপুরকে রীতিমতো কলকাতার ছায়া হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছিলেন। তার নির্মিত বৈঠকখানার উপরাংশে ছিল নহবতখানা, যেখান থেকে প্রতিদিন ভোরে বাজতো সানাইয়ের ভৈরবী রাগ। সেই সুরেই ঘুম ভাঙত এলাকার মানুষদের।
চৌধুরী বাড়ির পাশেই ছিল এক চিড়িয়াখানা, যেখানে দেখা যেত ময়ূর, হরিণ, ময়না, কাকাতোয়া—এমনকি শেষদিকে সেখানে স্থান পেয়েছিল একটি বাঘ 'কেতকী' ও একটি সিংহ 'দ্যুতি'। এছাড়া ছিল ঝুলন দালান, যেখানে শ্রাবণের পূর্ণিমায় আয়োজন করা হতো পূজা, নাটক ও যাত্রার। এই দালানেই পরবর্তী সময়ে চৌধুরী বংশের শেষ প্রতিনিধি মিলন দেবী (মিলন কর্ত্রী) ‘বৃন্দাবন বিগ্রহ’-এর নিরাপত্তা দিতে গিয়ে প্রাণ হারান এক নির্মম হামলায়।
চৌধুরী বাড়িতে ছিল আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা—ঘোড়ার দালান। জমিদারদের ঘোড়া পালন ও যাতায়াতের জন্য তৈরি এই সুসজ্জিত দালানে থাকতেন ঘোড়ার তত্ত্বাবধায়করা। এই ঘোড়ার দালানের স্থানে এখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শহীদ শামসুল হক পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
১৯৪৭-এর দেশভাগের পর এই জমিদার বাড়ির সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে তৎকালীন সরকার। আজকের দিনে মূল প্রাসাদটি ব্যবহার হচ্ছে নাগরপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ হিসেবে। দৃষ্টিনন্দন এই প্রাসাদের অভ্যন্তরীণ অংশ নির্মিত হয়েছে শ্বেতপাথরে, যা এখনো অতীতের ঐতিহ্য বহন করে।
মূল প্রাসাদের পাশেই, পশ্চিম দিকে রয়েছে কয়েকটি স্থাপনা—কিছু ব্যক্তি মালিকানাধীন, আবার কিছু সরকারি কাজে ব্যবহৃত। এর মধ্যে একটি পুরাতন পূজা মণ্ডপ এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। মণ্ডপের পেছনে রয়েছে একটি কূপ, যা সম্ভবত সেই আমলের নিদর্শন। এর ঠিক পাশেই রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, যার সম্মুখে রয়েছে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি।
ভিডিও ধারণের সময় এক প্রবীণ ব্যক্তি, যিনি ঐ এলাকার একজন মালিক, জানান—নাগরপুর ছিল একটি ‘স্টেট’। এই স্টেট কর দিত করটিয়ার জমিদারদের এবং এখানে অবস্থান করতেন কয়লা ব্যবসায়ী চৌধুরীরা। তিনি আরও বলেন, নাগরপুর চৌধুরী বাড়ির সামনে যে বিশাল পুকুর রয়েছে, তার পাশেই ছিল ঘোড়ার দালান, যা এখন স্কুলে রূপান্তরিত হয়েছে।
নাগরপুর চৌধুরী বাড়ি শুধু একটি স্থাপনা নয়, এটি এক ইতিহাস, এক ঐতিহ্যের দ্যোতক—যেখানে প্রতিটি ইট-পাথরের গায়ে লেগে আছে এক সময়ের গৌরবময় কাহিনি।
🏛️ Main Palace Now A College
The heart of Nagarpur, now serving as Nagarpur Mohila Honors College, was once the center of control, culture, and commerce. However, behind this grand building lies a web of forgotten heritage.
🌳 পশ্চিম পাশে ছড়িয়ে থাকা উপেক্ষিত ইতিহাস
We explored the western side of the estate — where neglected architectures still stand with fading pride. কিছু ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ভবন, একটি পরিত্যক্ত পূজা মণ্ডপ, এবং সম্ভবত একটি পুরনো কূপ... প্রতিটির মাঝেই ইতিহাসের এক গভীর নীরবতা।
⛩️ Abandoned Temple & The Mysterious Well
A broken temple speaks of rituals and community gatherings long gone. Behind it, a circular brick structure — perhaps a well from the Zamindari period — stands as a mystery waiting to be read.
🏥 Now a Health Complex, Once an Estate Fragment
The Upazila Health Complex, located right next to these relics, ironically connects the past's physical power with today's healthcare. Just opposite, an old freedom fighter’s house offers yet another layer of stories from more recent history.
🗣️ প্রবীণ জনের মুখে শোনা ইতিহাস
We spoke with an elderly local owner who told us that Nagarpur once functioned as an independent state — a "State" that paid taxes to the mighty Korotia Zamindars. According to him, Nagarpur’s estate owner was also a coal trader, adding another layer to its economic background.
Видео উপেন্দ্র সরোবর | নাগরপুর জমিদার ও চৌধুরী বাড়ির হারানো ইতিহাস! канала Doodles
🎥 পুরোটা দেখুন, প্রতিটি দেয়াল কিছু বলছে…
Welcome to a journey into the untold history of Nagarpur Zamindar House, but this time, not the main palace — this episode uncovers the forgotten surroundings that once breathed under the shadow of power. এই ভিডিওতে আমরা নিয়ে এসেছি নাগরপুর জমিদার প্রাসাদের আশেপাশের সেই স্থানগুলো, যেগুলো আজ অনেকেই চেনে না, জানে না… অথচ প্রতিটি ইট, প্রতিটি পথ নিজেই ইতিহাস!
টাঙ্গাইল জেলার ইতিহাসে সমৃদ্ধ একটি নাম—নাগরপুর। ১৯০৬ সালে নাগরপুরকে থানা এবং ১৯৮৩ সালে উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পূর্ব দিকে ধলেশ্বরী নদী এবং পশ্চিমে যমুনার প্রবাহ বয়ে চলেছে এই জনপদের পাশ ঘেঁষে, যা একসময় নদীপথে নাগরপুরকে কলকাতার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত করেছিল। এই নদীবিধৌত অঞ্চল ঊনবিংশ শতাব্দীতে রূপ নেয় এক বাণিজ্যিক কেন্দ্র হিসেবে, আর কলকাতার সঙ্গে নাগরপুরের গড়ে ওঠে এক শক্তিশালী বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক।
ঠিক এই সময়ে সুবিদ্ধা খাঁ’র হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় নাগরপুরের প্রভাবশালী ‘চৌধুরী’ বংশ। যদুনাথ চৌধুরী ছিলেন এই বংশের প্রথম পুরুষ, যিনি প্রায় ৫৪ একর জমির উপর তার জমিদারির সূচনা করেন। তার তিন পুত্র—উপেন্দ্র মোহন, জগদীন্দ্র মোহন এবং শশাঙ্ক মোহন চৌধুরী এই জমিদারির উত্তরাধিকারী হন।
ব্রিটিশ আমলে উপেন্দ্র মোহন চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র সতীশ চন্দ্র রায় চৌধুরী সাধারণ মানুষের কল্যাণে নানা সেবামূলক কাজের মাধ্যমে ‘রায় বাহাদুর’ উপাধিতে ভূষিত হন। অন্যদিকে, কনিষ্ঠ পুত্র সুরেশ চন্দ্র রায় চৌধুরী ছিলেন এক আধুনিকমনস্ক, সৌখিন এবং ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ, যিনি ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারী হিসেবেও স্মরণীয়। তারই তত্ত্বাবধানে নাগরপুর জমিদার বাড়ি নির্মিত হয় এক অপূর্ব নান্দনিকতায়, যেখানে মিশে যায় পাশ্চাত্য ও মোঘল স্থাপত্যরীতির ছোঁয়া।
সুরেশ চৌধুরী ছিলেন একজন স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনি নাগরপুরকে রীতিমতো কলকাতার ছায়া হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছিলেন। তার নির্মিত বৈঠকখানার উপরাংশে ছিল নহবতখানা, যেখান থেকে প্রতিদিন ভোরে বাজতো সানাইয়ের ভৈরবী রাগ। সেই সুরেই ঘুম ভাঙত এলাকার মানুষদের।
চৌধুরী বাড়ির পাশেই ছিল এক চিড়িয়াখানা, যেখানে দেখা যেত ময়ূর, হরিণ, ময়না, কাকাতোয়া—এমনকি শেষদিকে সেখানে স্থান পেয়েছিল একটি বাঘ 'কেতকী' ও একটি সিংহ 'দ্যুতি'। এছাড়া ছিল ঝুলন দালান, যেখানে শ্রাবণের পূর্ণিমায় আয়োজন করা হতো পূজা, নাটক ও যাত্রার। এই দালানেই পরবর্তী সময়ে চৌধুরী বংশের শেষ প্রতিনিধি মিলন দেবী (মিলন কর্ত্রী) ‘বৃন্দাবন বিগ্রহ’-এর নিরাপত্তা দিতে গিয়ে প্রাণ হারান এক নির্মম হামলায়।
চৌধুরী বাড়িতে ছিল আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা—ঘোড়ার দালান। জমিদারদের ঘোড়া পালন ও যাতায়াতের জন্য তৈরি এই সুসজ্জিত দালানে থাকতেন ঘোড়ার তত্ত্বাবধায়করা। এই ঘোড়ার দালানের স্থানে এখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শহীদ শামসুল হক পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
১৯৪৭-এর দেশভাগের পর এই জমিদার বাড়ির সম্পত্তি অধিগ্রহণ করে তৎকালীন সরকার। আজকের দিনে মূল প্রাসাদটি ব্যবহার হচ্ছে নাগরপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ হিসেবে। দৃষ্টিনন্দন এই প্রাসাদের অভ্যন্তরীণ অংশ নির্মিত হয়েছে শ্বেতপাথরে, যা এখনো অতীতের ঐতিহ্য বহন করে।
মূল প্রাসাদের পাশেই, পশ্চিম দিকে রয়েছে কয়েকটি স্থাপনা—কিছু ব্যক্তি মালিকানাধীন, আবার কিছু সরকারি কাজে ব্যবহৃত। এর মধ্যে একটি পুরাতন পূজা মণ্ডপ এখন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। মণ্ডপের পেছনে রয়েছে একটি কূপ, যা সম্ভবত সেই আমলের নিদর্শন। এর ঠিক পাশেই রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, যার সম্মুখে রয়েছে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি।
ভিডিও ধারণের সময় এক প্রবীণ ব্যক্তি, যিনি ঐ এলাকার একজন মালিক, জানান—নাগরপুর ছিল একটি ‘স্টেট’। এই স্টেট কর দিত করটিয়ার জমিদারদের এবং এখানে অবস্থান করতেন কয়লা ব্যবসায়ী চৌধুরীরা। তিনি আরও বলেন, নাগরপুর চৌধুরী বাড়ির সামনে যে বিশাল পুকুর রয়েছে, তার পাশেই ছিল ঘোড়ার দালান, যা এখন স্কুলে রূপান্তরিত হয়েছে।
নাগরপুর চৌধুরী বাড়ি শুধু একটি স্থাপনা নয়, এটি এক ইতিহাস, এক ঐতিহ্যের দ্যোতক—যেখানে প্রতিটি ইট-পাথরের গায়ে লেগে আছে এক সময়ের গৌরবময় কাহিনি।
🏛️ Main Palace Now A College
The heart of Nagarpur, now serving as Nagarpur Mohila Honors College, was once the center of control, culture, and commerce. However, behind this grand building lies a web of forgotten heritage.
🌳 পশ্চিম পাশে ছড়িয়ে থাকা উপেক্ষিত ইতিহাস
We explored the western side of the estate — where neglected architectures still stand with fading pride. কিছু ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ভবন, একটি পরিত্যক্ত পূজা মণ্ডপ, এবং সম্ভবত একটি পুরনো কূপ... প্রতিটির মাঝেই ইতিহাসের এক গভীর নীরবতা।
⛩️ Abandoned Temple & The Mysterious Well
A broken temple speaks of rituals and community gatherings long gone. Behind it, a circular brick structure — perhaps a well from the Zamindari period — stands as a mystery waiting to be read.
🏥 Now a Health Complex, Once an Estate Fragment
The Upazila Health Complex, located right next to these relics, ironically connects the past's physical power with today's healthcare. Just opposite, an old freedom fighter’s house offers yet another layer of stories from more recent history.
🗣️ প্রবীণ জনের মুখে শোনা ইতিহাস
We spoke with an elderly local owner who told us that Nagarpur once functioned as an independent state — a "State" that paid taxes to the mighty Korotia Zamindars. According to him, Nagarpur’s estate owner was also a coal trader, adding another layer to its economic background.
Видео উপেন্দ্র সরোবর | নাগরপুর জমিদার ও চৌধুরী বাড়ির হারানো ইতিহাস! канала Doodles
Doodles Travel nagarpur jamidar bari nagarpur zamindar bari nagarpur chowdhury bari nagarpur mohila college nagarpur tangail tangail jomidar bari chowdhury bagan bari tourist spot in tangail near dhaka tourist spot choudhury bari historical palace baliati jamidar bari mohera jamidar bari mohera jomidar bari pakutia jomidar bari টাঙ্গাইল নাগরপুর নাগরপুর জমিদার বাড়ি নাগরপুর চৌধুরী বাড়ি জমিদার বাড়ি ঢাকার কাছে ঘোরার জায়গা upendra sharobar 12 ghatala dighi To
Комментарии отсутствуют
Информация о видео
3 мая 2025 г. 21:01:00
00:02:47
Другие видео канала