ঝুনা চৌধুরী, সেক্রেটারী নাট্যকেন্দ্র, সাবেক মহাসচিব,গ্রপ থিয়েটার ফেডারেশন সংবাদ সম্মেলনে বলেন
বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের জরুরী সংবাদ সম্মেলন
মোঃ শাহীনুর রহমানঃ ৯ নভেম্বর ২০২৪, সেমিনার কক্ষ গত ২রা নভেম্বর দেশ নাটক এর প্রযোজনায় নিত্যপূরাণ নাটকটি মাঝ পথে বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন কর্তৃক গতকাল এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এই সমাবেশে নাট্যকর্মীদের বিপুল উপস্থিতি ছিল। নিত্যপূরান বন্ধের ঘটনা ছিল দেশের নাটকের ইতিহাসে এক বিরল ঘটনা। বিকাল চারটায় শিল্পকলা একাডেমির মূল গেটে চলমান এই প্রতিবাদ সমাবেশের প্রায় শেষ পর্যায়ে যখন সর্বজন শ্রদ্ধেয় নাট্যজন মামুনুর রশীদ বক্তব্য রাখছিলেন ঠিক তখন কিছু দুষ্কৃতিকারীরা দুদকের গেটের দিক থেকে সমাবেশ লক্ষ্য করে ইট ও ডিম ছুড়ে মারে। এতে অনেকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। ফলে সমাবেশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু নাট্যকর্মীদের প্রতিরোধের মুখে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। নাট্যকর্মীরা তখন মুহুর্মুহু শ্লোগান দিতে থাকে "নাটক মোদের অধিকার রুখবে নাটক সাধ্য কার।" সমাবেশের পাশে দায়িত্বরত পুলিশ ও
সেনাবাহীনির সদস্যরাও এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করে। কিন্তু তাঁরা কোন জোরালো পদক্ষেপ নেননি। পরিস্থিতি একটু
শান্ত হলে সমাবেশের কাজ আবার শুরু হয় এবং মামুনুর রশীদ তার বক্তব্য শেষ করেন।
কিছুক্ষণ পর হামলাকারীরা আবার কিছুটা বর্ধিত সংখ্যায় ফিরে আসেন এবং নাটক ও নাট্যকর্মীদের বিরুদ্ধে
শ্লোগান দিতে দিতে সমাবেশের দিকে এগিয়ে আসতে থাকেন। এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের গতিরোধ
করলে তারা সেখানে দাড়িয়েই নাটকবিরোধী নানান উত্তেজক শ্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাঁরা ফিরে
গিয়ে আবার হ্যান্ড মাইক নিয়ে শ্লোগান দিতে দিতে ফিরে আসেন এবং রাস্তায় বসে অবস্থান করতে থাকেন।
নাটক দেখতে আসা অনেক দর্শক এই পরিস্থিতি দেখে শিল্পকলা একাডেমি ছেড়ে যান। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন আইন- শৃংখলা বাহিনীর কাছে দুষ্কৃতিকারিদের তাৎক্ষনিক ভাবে গ্রেফতারের আহ্বান জানিয়েছিল।, এই হামলাকে দেশের শিল্প সংস্কৃতির উপর হামলা এবং একে দেশের সাংস্কৃতি চর্চা ব্যাহত করার এক গভীর চংক্রান্ত বলে মনে করি। শিল্পচর্চার এই প্রতিকূল পরিস্থিতি দেশের সার্বিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করবে বলে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন মনে করে।
চরম নিন্দনীয় এই ঘটনার নিরেপক্ষ তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং বাধাহীন নাট্যচর্চার পরিবেশ বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কে। দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জোর দাবী জানাই। নিরাপত্তাহীন অবস্থায় কোনো শিল্পের চর্চ্চা সম্ভব নয়। একের পর এক নাট্যদল, নাট্যকর্মীরা এসব দুস্কৃতিকারীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিনত হয়েছে। অথচ আপনাদের প্রতিবেদন থেকেই স্পষ্ট প্রমাণিত হয়েছে যে কারা এইসব কাজ করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেখানে উপস্থিত থেকে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেননি। তাই আমরা মনে করি অভিনয়ের জন্যে একটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত আমরা আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত পরিস্থিতির বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবো। ইতিমধ্যে ঢাকাসহ সারাদেশে নাট্যকর্মীরা তাদের বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ জানাবে।
আশাকরি, প্রধান উপদেষ্টোর প্রেস উইং থেকে যে বিবৃতি দেয়া হয়েছিল তার ধারাবাহিকতায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের
বিরুদ্ধে জরুরী ব্যবস্থা নিয়ে শিল্পচর্চ্চার পরিবেশ সৃষ্টি করা হোক। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান এর পক্ষ থেকে আমরা আপনাদের কাছে এই বিবৃতিটি জানাই যাতে দেশবাসী এই পরিপ্রেক্ষিতে তাদেরও মতামত জানাতে পারেন।
Видео ঝুনা চৌধুরী, সেক্রেটারী নাট্যকেন্দ্র, সাবেক মহাসচিব,গ্রপ থিয়েটার ফেডারেশন সংবাদ সম্মেলনে বলেন канала কপোতাক্ষ টেলিভিশন
মোঃ শাহীনুর রহমানঃ ৯ নভেম্বর ২০২৪, সেমিনার কক্ষ গত ২রা নভেম্বর দেশ নাটক এর প্রযোজনায় নিত্যপূরাণ নাটকটি মাঝ পথে বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন কর্তৃক গতকাল এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এই সমাবেশে নাট্যকর্মীদের বিপুল উপস্থিতি ছিল। নিত্যপূরান বন্ধের ঘটনা ছিল দেশের নাটকের ইতিহাসে এক বিরল ঘটনা। বিকাল চারটায় শিল্পকলা একাডেমির মূল গেটে চলমান এই প্রতিবাদ সমাবেশের প্রায় শেষ পর্যায়ে যখন সর্বজন শ্রদ্ধেয় নাট্যজন মামুনুর রশীদ বক্তব্য রাখছিলেন ঠিক তখন কিছু দুষ্কৃতিকারীরা দুদকের গেটের দিক থেকে সমাবেশ লক্ষ্য করে ইট ও ডিম ছুড়ে মারে। এতে অনেকে আঘাতপ্রাপ্ত হন। ফলে সমাবেশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু নাট্যকর্মীদের প্রতিরোধের মুখে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। নাট্যকর্মীরা তখন মুহুর্মুহু শ্লোগান দিতে থাকে "নাটক মোদের অধিকার রুখবে নাটক সাধ্য কার।" সমাবেশের পাশে দায়িত্বরত পুলিশ ও
সেনাবাহীনির সদস্যরাও এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করে। কিন্তু তাঁরা কোন জোরালো পদক্ষেপ নেননি। পরিস্থিতি একটু
শান্ত হলে সমাবেশের কাজ আবার শুরু হয় এবং মামুনুর রশীদ তার বক্তব্য শেষ করেন।
কিছুক্ষণ পর হামলাকারীরা আবার কিছুটা বর্ধিত সংখ্যায় ফিরে আসেন এবং নাটক ও নাট্যকর্মীদের বিরুদ্ধে
শ্লোগান দিতে দিতে সমাবেশের দিকে এগিয়ে আসতে থাকেন। এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের গতিরোধ
করলে তারা সেখানে দাড়িয়েই নাটকবিরোধী নানান উত্তেজক শ্লোগান দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে তাঁরা ফিরে
গিয়ে আবার হ্যান্ড মাইক নিয়ে শ্লোগান দিতে দিতে ফিরে আসেন এবং রাস্তায় বসে অবস্থান করতে থাকেন।
নাটক দেখতে আসা অনেক দর্শক এই পরিস্থিতি দেখে শিল্পকলা একাডেমি ছেড়ে যান। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন আইন- শৃংখলা বাহিনীর কাছে দুষ্কৃতিকারিদের তাৎক্ষনিক ভাবে গ্রেফতারের আহ্বান জানিয়েছিল।, এই হামলাকে দেশের শিল্প সংস্কৃতির উপর হামলা এবং একে দেশের সাংস্কৃতি চর্চা ব্যাহত করার এক গভীর চংক্রান্ত বলে মনে করি। শিল্পচর্চার এই প্রতিকূল পরিস্থিতি দেশের সার্বিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করবে বলে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন মনে করে।
চরম নিন্দনীয় এই ঘটনার নিরেপক্ষ তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে এবং বাধাহীন নাট্যচর্চার পরিবেশ বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কে। দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জোর দাবী জানাই। নিরাপত্তাহীন অবস্থায় কোনো শিল্পের চর্চ্চা সম্ভব নয়। একের পর এক নাট্যদল, নাট্যকর্মীরা এসব দুস্কৃতিকারীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিনত হয়েছে। অথচ আপনাদের প্রতিবেদন থেকেই স্পষ্ট প্রমাণিত হয়েছে যে কারা এইসব কাজ করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সেখানে উপস্থিত থেকে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেননি। তাই আমরা মনে করি অভিনয়ের জন্যে একটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত আমরা আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত পরিস্থিতির বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবো। ইতিমধ্যে ঢাকাসহ সারাদেশে নাট্যকর্মীরা তাদের বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ জানাবে।
আশাকরি, প্রধান উপদেষ্টোর প্রেস উইং থেকে যে বিবৃতি দেয়া হয়েছিল তার ধারাবাহিকতায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের
বিরুদ্ধে জরুরী ব্যবস্থা নিয়ে শিল্পচর্চ্চার পরিবেশ সৃষ্টি করা হোক। বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান এর পক্ষ থেকে আমরা আপনাদের কাছে এই বিবৃতিটি জানাই যাতে দেশবাসী এই পরিপ্রেক্ষিতে তাদেরও মতামত জানাতে পারেন।
Видео ঝুনা চৌধুরী, সেক্রেটারী নাট্যকেন্দ্র, সাবেক মহাসচিব,গ্রপ থিয়েটার ফেডারেশন সংবাদ সম্মেলনে বলেন канала কপোতাক্ষ টেলিভিশন
Комментарии отсутствуют
Информация о видео
9 ноября 2024 г. 11:46:35
00:01:27
Другие видео канала








