Загрузка...

মহাস্থান থেকে বেহুলার বাসর ঘরে যাওয়ার পথে / On the way from Mahasthan to Behula residence /ATA Tour

মহাস্থান থেকে বেহুলার বাসর ঘরে যাওয়ার পথে / On the way from Mahasthan to Behula residence /ATA Tour
#mahasthangarh
#behula_lokkhindor
#bogra
মহাস্থান থেকে বেহুলার বাসর ঘরে যাওয়ার পথে/ On the way from Mahasthan to Behula residence /ATA Tour,মহাস্থান থেকে বেহুলার বাসর ঘরে যাওয়ার পথে,On the way from Mahasthan to Behula residence,মহাস্থান থেকে বেহুলার বাসর ঘর,Mahasthan to Behula residence,বেহুলা লক্ষিন্দরের বাসর ঘর, Behula Laxinder's residence,বেহুলা লক্ষিন্দর,Behula Laxinder,গোকুল মেধ,Gokul Medha,শিবগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত,বেহুলা লক্ষিন্দরের কাহিনী,On the way from Mahasthan to Behula
বেহুলা লক্ষিন্দরের বাসর ঘর, যা স্থানীয়ভাবে **গোকুল মেধ** নামে পরিচিত, বাংলাদেশের বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত একটি ঐতিহাসিক স্থান। এটি শুধু একটি প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শন নয়, বরং এটি বাংলা লোককথার এক অমর প্রেমোপাখ্যান বেহুলা ও লক্ষিন্দরের করুণ অথচ দৃঢ় ভালোবাসার প্রতীক। প্রায় আড়াই হাজার বছর পূর্বে নির্মিত এই স্তূপটি কালের সাক্ষী হিসেবে আজও দাঁড়িয়ে আছে এবং অসংখ্য পর্যটকদের আকর্ষণ করে।

গোকুল মেধ একটি বিশাল আকারের স্তূপ, যা মাটি ও ইটের সমন্বয়ে গঠিত। এর স্থাপত্যশৈলী গুপ্ত যুগের পরবর্তী সময়ের বলে ধারণা করা হয়। স্তূপটির চূড়া অনেকটা সমতল এবং এর চারপাশে বেশ কিছু কক্ষ ও কুঠুরি বিদ্যমান ছিল বলে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই কক্ষগুলো সম্ভবত পূজা-অর্চনার স্থান অথবা আবাসিক ব্যবহারের জন্য নির্মিত হয়েছিল। স্তূপের নির্মাণশৈলী এবং ব্যবহৃত ইটগুলি তৎকালীন সময়ের স্থাপত্যকলার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

বেহুলা লক্ষিন্দরের কাহিনী অনুসারে, চাঁদ সওদাগরের পুত্র লক্ষিন্দরের সঙ্গে বেহুলার বিয়ে হয়। কিন্তু দৈবদুর্যোগের পূর্বাভাস অনুযায়ী, লক্ষিন্দরের সাপের কামড়ে মৃত্যু অবধারিত ছিল। এই বিপদ থেকে রক্ষা করার জন্য লোহার তৈরি একটি বাসর ঘর নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নিয়তির লিখন খণ্ডানো যায় না, এবং সেই বাসর ঘরেই কালনাগিনীর দংশনে লক্ষিন্দরের মৃত্যু ঘটে।

লোককথা অনুযায়ী, বেহুলা তার মৃত স্বামীর দেহ ভেলায় ভাসিয়ে দেবলোকে যাত্রা করেন এবং নৃত্য ও গান পরিবেশনের মাধ্যমে দেবতাদের তুষ্ট করে স্বামীকে ফিরে পান। এই কাহিনিতে বেহুলার অসীম সাহস, স্বামীর প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং অদম্য ইচ্ছাশক্তি প্রকাশিত হয়। গোকুল মেধ সেই বাসর ঘরের স্থান হিসেবে লোকমুখে পরিচিতি লাভ করেছে। যদিও প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা এই লোককথার ঐতিহাসিক ভিত্তি সম্পর্কে নিশ্চিত প্রমাণ দিতে পারেনি, তবুও এই স্থানটি বেহুলা লক্ষিন্দরের অমর প্রেমের স্মৃতি ধারণ করে রেখেছে।

গোকুল মেধের প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব অপরিসীম। এখানে বিভিন্ন সময়ে খননকার্য চালানো হয়েছে এবং গুপ্ত যুগের পরবর্তী সময়ের বহু মূল্যবান নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো পোড়ামাটির ফলক, মৃৎপাত্রের ভগ্নাংশ, অলঙ্কার এবং অন্যান্য প্রাচীন শিল্পকর্ম। এই নিদর্শনগুলি তৎকালীন সমাজ, সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রা সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য প্রদান করে।

বর্তমানে, গোকুল মেধ একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ বেহুলা লক্ষিন্দরের অমর প্রেম কাহিনির সাক্ষী হতে এবং প্রাচীন স্থাপত্যের নিদর্শন দেখতে এখানে আসেন। বগুড়া শহর থেকে সহজেই সড়কপথে এখানে পৌঁছানো যায়। স্থানীয় প্রশাসন এই ঐতিহাসিক স্থানটির রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।

গোকুল মেধ শুধু একটি ইটের স্তূপ নয়, এটি বাঙালির লোকসংস্কৃতি ও ইতিহাসের এক জীবন্ত প্রতীক। বেহুলা লক্ষিন্দরের প্রেম কাহিনি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষের হৃদয়ে অমর হয়ে আছে, এবং গোকুল মেধ সেই ভালোবাসার নীরব সাক্ষী হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে অনন্তকাল। এই স্থানটি আমাদের অতীত ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে এবং ভালোবাসার অসীম শক্তিকে উপলব্ধি করতে অনুপ্রাণিত করে।

Видео মহাস্থান থেকে বেহুলার বাসর ঘরে যাওয়ার পথে / On the way from Mahasthan to Behula residence /ATA Tour канала ATA Toure
Страницу в закладки Мои закладки
Все заметки Новая заметка Страницу в заметки