লাউ চাষ পদ্ধতি ll লাউ ডগা কাটিং ll Lau chas podhoti ll part-1
লাউ চাষ পদ্ধতি ll লাউ ডগা কাটিং ll Lau chas podhoti ll part-1
বপনের সময় : মধ্য শ্রাবণ-মধ্য কার্তিক (আগস্ট অক্টোবর) মধ্য ফাল্গুন মধ্য জ্যৈষ্ঠ (ফেব্রুয়ারি -মে)। উন্নত জাতের লাউ সারা বছর চাষ করা যায় ।
চাষ পদ্ধতি : পলিথিন ব্যাগ অথবা ট্রেতে চারা তৈরি করলে রোপণের পর চারা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ৫ X৪ ইঞ্চি আকারের ব্যাগে সমান পরিমাণ বালি, মাটি ও ভার্মি কম্পোস্ট মিশ্রণ ভর্তি করে ব্যাগের তলায় ২-৩ টি ছিদ্র করুন। রৌদ্রোজ্জ্বল, সহজে আলো-বাতাস চলাচল করতে পারে এরকম উর্বর জমি বীজতলার জন্য বেছে নিতে হবে।
কাটিং : কাটিং লাউ চাষ এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১২-১৪ পাতার পর ডগা কেটে দিতে হবে। কাটা অংশের কাছে ৩-৪ টি ডাল রেখে নিচের সব ডাল কেটে দিতে হবে। দ্বিতীয় ধাপের ডাল গুলো ৮-১০ পাতার পরে ডগা কেটে দিতে হবে। তৃতীয় ধাপে প্রতি গিঁটে গিঁটে লাউ ধরবে।
বীজের পরিমান : জাত ভেদে শতক প্রতি ৭-৮ টি গাছ লাগানো যায়।
সার ব্যবস্থাপনা : গোবর বা কম্পোস্ট ৪০ কেজি, ইউরিয়া ২কেজি,টি এস পি ১.৬ কেজি,এমপি ১.২ কেজি,বোরণ১০ গ্রাম, জিপসাম-০.৫ কেজি। মাদা তৈরি করার সময় সমুদয় গোবর, টিএসপি, বোরণ, অর্ধেক পটাশ এবং পাঁচ ভাগের এক ভাগ ইউরিয়া সার মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। সার মেশানের ১০-১৫ দিন পর জমিতে বীজ বপন করতে হয়। অবশিষ্ট ইউরিয়া ও পটাশ সার সমান চার কিস্তিতে পুরো জীবনকালে উপরি প্রয়োগ করতে হয়।
সেচ : লাউ ফসল পানির প্রতি খুবই সংবেদনশীল। প্রয়োজনীয় পানির অভাব হলে ফল ধারন ব্যাহত হবে এবং যেসব ফল ধরেছে সেগুলো আস্তে আস্তে ঝড়ে যাবে। লাউয়ের সমস্ত জমি ভিজিয়ে প্লাবন সেচ দেওয়া যাবে না। শুধুমাত্র সেচ নালায় পানি দিয়ে আটকে রাখলে গাছ পানি টেনে নিবে। প্রয়োজনে সেচ নালা হতে ছোট কোন পাত্র দিয়ে কিছু পানি গাছের গোড়ায় সেচ দেওয়া যায়। শুষ্ক মৌসুমে লাউ ফসলে ৫-৭ দিন অন্তর সেচ দেয়ার প্রয়োজন পড়ে।
আগাছা : সেচ ও সার দেবার পর জো আসা মাত্র আগাছা দমন করুন। চারা গজানোর ২০-২৫ দিন পর আগাছা দমন করতে হবে। গাছ খুব ঘন থাকলে পাতলা করে দিতে হবে।
আবহাওয়া ও দুর্যোগ : অতিরিক্ত বৃষ্টির পানি বের করে দিতে হবে। ঝড় বৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য খুঁটির সাথে বেধে দিন ।
পোকামাকড় : রেড পামকিন বিটল/ লাল বিটল পোকা ও ফলের মাছি পোকা,সুড়ঙ্গকারী পোকা দমনে সাইপারমেথ্রিন জাতীয় কীটনাশ প্রতি লিটার পানিতে 1 ml হারে মিশিয়ে প্স্প্রে করতে হবে ১০-১২ দিন পরপর ২/৩ বার। জাব পোকা দমনে ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক প্রতি লিটার পানিতে 1 ml হারে মিশিয়ে প্স্প্রে করতে হবে ৭-১০ দিন পরপর ২/৩ বার।
রোগবালাই : এনথ্রাকনোজ/ফল পচা রোগ,পাউডারি মিলডিউ ও ডাঊনি মিলডিউ রোগ দমনে সালফার জাতীয় ছত্রাক নাশক অথবা কার্বেন্ডাজিম জাতীয় ছত্রাকনাশক (যেমন: গোল্ডাজিম ৫ মিলিটার বা এমকোজিম বা কিউবি বা কমপ্যানিয়ন ২০ গ্রাম) প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ দিন পরপর আক্রমণের শুরু থেকে মোট ২-৩ বার প্রয়োগ করুন। পাতায় হলদে মোজাইক রোগের বাহক পোকা (জাবপোকা) দমনে ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।
ফলন : জাত ভেদে গাছ প্রতি ফলন 15-20 টি,,, এমন কি এর বেশী ও পাওয়া যায়।
সংরক্ষন ও পরিবহন : ঠান্ডা ও বাতাস চলাচল করা জায়গাতে ফল ঘষা বা চাপ খায় না এমন ভাবে সংরক্ষন ও পরিবহন করুন । চটের ছালা নিচে বিছিয়ে দিলে ভালো হয়।
পুষ্টিগুন : লাউয়ে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-সি বেশি থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যপযোগী লাউ এ ক্যালসিয়াম ২৬ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন সি ৪ মিলিগ্রাম রয়েছে। এছাড়াও লাউয়ের অন্যান্য পুষ্টিগুন ও রয়েছে যেমন, খনিজ পদার্থ ০.৬ গ্রাম, আঁশ ০.৬ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৬৬ কিলোক্যালরি, আমিষ ১.১ গ্রাম, লৌহ ০.৭ মিলিগ্রাম, শর্করা ১৫.১ গ্রাম।
যোগাযোগ-ঘাটাইল,টাঙ্গাইল।
হোয়াটসএপ-01676376640
Facebook : https://www.facebook.com/profile.php?id=100089109335544&mibextid=ViGcVu
#লাউ_চাষ
#লাউ_চাষ_পদ্ধতি
#লাউ_কাটিং_পদ্ধতি
#Lau_chas
#Lau_chas_podhoti
Видео লাউ চাষ পদ্ধতি ll লাউ ডগা কাটিং ll Lau chas podhoti ll part-1 канала Agronic Farm (কৃষক) (Ahad Alamin)
বপনের সময় : মধ্য শ্রাবণ-মধ্য কার্তিক (আগস্ট অক্টোবর) মধ্য ফাল্গুন মধ্য জ্যৈষ্ঠ (ফেব্রুয়ারি -মে)। উন্নত জাতের লাউ সারা বছর চাষ করা যায় ।
চাষ পদ্ধতি : পলিথিন ব্যাগ অথবা ট্রেতে চারা তৈরি করলে রোপণের পর চারা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ৫ X৪ ইঞ্চি আকারের ব্যাগে সমান পরিমাণ বালি, মাটি ও ভার্মি কম্পোস্ট মিশ্রণ ভর্তি করে ব্যাগের তলায় ২-৩ টি ছিদ্র করুন। রৌদ্রোজ্জ্বল, সহজে আলো-বাতাস চলাচল করতে পারে এরকম উর্বর জমি বীজতলার জন্য বেছে নিতে হবে।
কাটিং : কাটিং লাউ চাষ এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ১২-১৪ পাতার পর ডগা কেটে দিতে হবে। কাটা অংশের কাছে ৩-৪ টি ডাল রেখে নিচের সব ডাল কেটে দিতে হবে। দ্বিতীয় ধাপের ডাল গুলো ৮-১০ পাতার পরে ডগা কেটে দিতে হবে। তৃতীয় ধাপে প্রতি গিঁটে গিঁটে লাউ ধরবে।
বীজের পরিমান : জাত ভেদে শতক প্রতি ৭-৮ টি গাছ লাগানো যায়।
সার ব্যবস্থাপনা : গোবর বা কম্পোস্ট ৪০ কেজি, ইউরিয়া ২কেজি,টি এস পি ১.৬ কেজি,এমপি ১.২ কেজি,বোরণ১০ গ্রাম, জিপসাম-০.৫ কেজি। মাদা তৈরি করার সময় সমুদয় গোবর, টিএসপি, বোরণ, অর্ধেক পটাশ এবং পাঁচ ভাগের এক ভাগ ইউরিয়া সার মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। সার মেশানের ১০-১৫ দিন পর জমিতে বীজ বপন করতে হয়। অবশিষ্ট ইউরিয়া ও পটাশ সার সমান চার কিস্তিতে পুরো জীবনকালে উপরি প্রয়োগ করতে হয়।
সেচ : লাউ ফসল পানির প্রতি খুবই সংবেদনশীল। প্রয়োজনীয় পানির অভাব হলে ফল ধারন ব্যাহত হবে এবং যেসব ফল ধরেছে সেগুলো আস্তে আস্তে ঝড়ে যাবে। লাউয়ের সমস্ত জমি ভিজিয়ে প্লাবন সেচ দেওয়া যাবে না। শুধুমাত্র সেচ নালায় পানি দিয়ে আটকে রাখলে গাছ পানি টেনে নিবে। প্রয়োজনে সেচ নালা হতে ছোট কোন পাত্র দিয়ে কিছু পানি গাছের গোড়ায় সেচ দেওয়া যায়। শুষ্ক মৌসুমে লাউ ফসলে ৫-৭ দিন অন্তর সেচ দেয়ার প্রয়োজন পড়ে।
আগাছা : সেচ ও সার দেবার পর জো আসা মাত্র আগাছা দমন করুন। চারা গজানোর ২০-২৫ দিন পর আগাছা দমন করতে হবে। গাছ খুব ঘন থাকলে পাতলা করে দিতে হবে।
আবহাওয়া ও দুর্যোগ : অতিরিক্ত বৃষ্টির পানি বের করে দিতে হবে। ঝড় বৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য খুঁটির সাথে বেধে দিন ।
পোকামাকড় : রেড পামকিন বিটল/ লাল বিটল পোকা ও ফলের মাছি পোকা,সুড়ঙ্গকারী পোকা দমনে সাইপারমেথ্রিন জাতীয় কীটনাশ প্রতি লিটার পানিতে 1 ml হারে মিশিয়ে প্স্প্রে করতে হবে ১০-১২ দিন পরপর ২/৩ বার। জাব পোকা দমনে ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক প্রতি লিটার পানিতে 1 ml হারে মিশিয়ে প্স্প্রে করতে হবে ৭-১০ দিন পরপর ২/৩ বার।
রোগবালাই : এনথ্রাকনোজ/ফল পচা রোগ,পাউডারি মিলডিউ ও ডাঊনি মিলডিউ রোগ দমনে সালফার জাতীয় ছত্রাক নাশক অথবা কার্বেন্ডাজিম জাতীয় ছত্রাকনাশক (যেমন: গোল্ডাজিম ৫ মিলিটার বা এমকোজিম বা কিউবি বা কমপ্যানিয়ন ২০ গ্রাম) প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ দিন পরপর আক্রমণের শুরু থেকে মোট ২-৩ বার প্রয়োগ করুন। পাতায় হলদে মোজাইক রোগের বাহক পোকা (জাবপোকা) দমনে ইমিডাক্লোরোপ্রিড জাতীয় কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।
ফলন : জাত ভেদে গাছ প্রতি ফলন 15-20 টি,,, এমন কি এর বেশী ও পাওয়া যায়।
সংরক্ষন ও পরিবহন : ঠান্ডা ও বাতাস চলাচল করা জায়গাতে ফল ঘষা বা চাপ খায় না এমন ভাবে সংরক্ষন ও পরিবহন করুন । চটের ছালা নিচে বিছিয়ে দিলে ভালো হয়।
পুষ্টিগুন : লাউয়ে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-সি বেশি থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যপযোগী লাউ এ ক্যালসিয়াম ২৬ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন সি ৪ মিলিগ্রাম রয়েছে। এছাড়াও লাউয়ের অন্যান্য পুষ্টিগুন ও রয়েছে যেমন, খনিজ পদার্থ ০.৬ গ্রাম, আঁশ ০.৬ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৬৬ কিলোক্যালরি, আমিষ ১.১ গ্রাম, লৌহ ০.৭ মিলিগ্রাম, শর্করা ১৫.১ গ্রাম।
যোগাযোগ-ঘাটাইল,টাঙ্গাইল।
হোয়াটসএপ-01676376640
Facebook : https://www.facebook.com/profile.php?id=100089109335544&mibextid=ViGcVu
#লাউ_চাষ
#লাউ_চাষ_পদ্ধতি
#লাউ_কাটিং_পদ্ধতি
#Lau_chas
#Lau_chas_podhoti
Видео লাউ চাষ পদ্ধতি ll লাউ ডগা কাটিং ll Lau chas podhoti ll part-1 канала Agronic Farm (কৃষক) (Ahad Alamin)
Комментарии отсутствуют
Информация о видео
12 сентября 2024 г. 14:30:07
00:07:03
Другие видео канала